রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
Single Top Banner

নারী পুলিশকে ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এক নারী পুলিশ সদস্যকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য সাফিউর রহমানের বিরুদ্ধে। অভিযোগের পর কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ওই নারী পুলিশ সদস্য, অভিযুক্ত এবং অভিযুক্ত পুলিশের স্ত্রীকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করেছে।

নারী পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন, সাফিউর রহমান প্রথমে বন্ধুত্বের ছলে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ চালান। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আশুলিয়া থানা থেকে বদলি হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যোগ দেন। যোগদানের পর সাফিউর রহমান তার সঙ্গে পরিচিত হন এবং গত রমজানের পরে এক রাতে ব্যারাকে একা থাকার সুযোগে তার রুমে ঢুকে ধর্ষণ করেন।

নারী পুলিশ সদস্য আরও অভিযোগ করেছেন, সাফিউর ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করেন এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন চালান। তিনি থানার ওসিকে বিষয়টি জানালেও মামলা নিতে গড়িমসি করা হয়।

অভিযুক্ত সাফিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন জানান, “ওই নারী পুলিশ সদস্য লিখিত অভিযোগ করেননি। মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং অভিযুক্ত তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল; কিন্তু সাফিউর রহমান বিবাহিত থাকায় বিয়ে করতে অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। উভয়কে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে। যে-ই দোষী প্রমাণিত হবে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকার পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান বলেন, “বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে জেলা পুলিশ ইতোমধ্যেই অভ্যন্তরীণভাবে একটি বিশেষ টিম গঠন করেছে।

Single Sidebar Banner
  • সর্বশেষ
  • পঠিত