ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর অবশেষে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করা হয় সোমবার (২০ অক্টোবর) মধ্যরাতে। মামলায় নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হকসহ মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মাজহারুল ইসলাম।
তিনি জানান, “মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মামলার এজাহারে সামিরা হক, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডনসহ আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মোট ১১ জনের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সালমান শাহর ঘনিষ্ঠজন আলমগীর কুমকুম বলেন, “সালমান শাহর বাবা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তিনি জীবিত অবস্থায় বহু চেষ্টা করেছেন অপমৃত্যু মামলাকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করার। কিন্তু সেই চেষ্টা করতে করতেই তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এখন এতদিন পর মামলা হয়েছে—ইনশাআল্লাহ প্রমাণ হবে, এটা হত্যা, আত্মহত্যা নয়।”
এর আগে সালমান শাহ হত্যা মামলা পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর দায়ের করা রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এই আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে ঘটনাটি অপমৃত্যু মামলা হিসেবে চলছিল।
পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চূড়ান্ত প্রতিবেদনে জানায়, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। তবে শুরু থেকেই তাঁর মা নীলা চৌধুরী পিবিআইয়ের প্রতিবেদনের বিরোধিতা করে আসছেন।
তিনি বরাবরই বলে আসছেন—“আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”


