আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচন। সারাদেশের এক লাখের বেশি রুকন সদস্য গোপন প্রত্যক্ষ ভোটে অংশ নেবেন। গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতায় জাতীয় নির্বাচনের আগেই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই ভোট বদলে দিতে পারে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কাঠামো।
বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ডিসেম্বরে। তিনি ২০১৯ সালে প্রথমবার এবং ২০২২ সালে দ্বিতীয়বার দলের আমির নির্বাচিত হন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমির তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হন, তবে একজন ব্যক্তি কতবার এই পদে থাকতে পারবেন—এ বিষয়ে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।
জামায়াতের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিদায়ী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা তিন জনের একটি প্যানেল ঠিক করে দেন। সেই তালিকা থেকে রুকন সদস্যরা গোপন ভোটে একজনকে নির্বাচিত করেন আমির হিসেবে। চাইলে প্যানেলের বাইরের প্রার্থীকেও ভোট দিতে পারেন।
দলীয় সূত্র জানায়, এবার আমির নির্বাচনের দুটি সম্ভাব্য প্যানেল নিয়ে আলোচনা চলছে। একটিতে রয়েছেন বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এ টি এম আজহারুল ইসলাম। অন্যটিতে আজহারের পরিবর্তে আছেন আরেক নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে। জাতীয় নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নতুন আমিরের কাঁধেই বর্তাবে।
গত দেড় দশক ধরে নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করা জামায়াত ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক মাঠে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পাঁচ দফা দাবি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি—এসবের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আমির নির্বাচন। ফলে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে আসতে পারে বড় পরিবর্তন।