চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা মূল্যের আমদানি নিষিদ্ধ দুই কনটেইনার ভর্তি ২৪ হাজার ৯৪০ কেজি পপি সিড আটক করেছে কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচ এম কবির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পপি সিড ‘ক’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে আমদানি নিষিদ্ধ।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা এই অভিযান পরিচালনা করে। পাকিস্তান থেকে আমদানিকৃত দুটি কন্টেইনারে ঘোষণায় ৩২ হাজার ১০ কেজি বার্ড ফুড উল্লেখ থাকলেও কায়িক পরীক্ষায় ২৪ হাজার ৯৬০ কেজিপপি সিড এবং ৭ হাজার ২০০ কেজি বার্ড ফুড পাওয়া যায়।
পণ্যগুলো আমদানি করে চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানাধীন ৭নং কোরবানিগঞ্জে অবস্থিত মেসার্স আদিব ট্রেডিং। তাদের পক্ষে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এম.এইচ.ট্রেডিং কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লি.।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচ এম কবির জানান, পাকিস্তান থেকে গত ২৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে দুইটি কনটেইনার ভর্তি পণ্য আমদানি করা হয়। তা খালাসের জন্য ছাবের আহমেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেড-এর অফডকে আনা হয়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চালান দুটির খালাস স্থগিত করে এবং পরবর্তীতে কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তরের পরীক্ষায় উক্ত পণ্যকে পপি সিড হিসেবে নিশ্চিত করা হয়।
আমদানি নীতি আদেশ ২০২১–২০২৪ অনুযায়ী পপি সিড ‘ক’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে আমদানি নিষিদ্ধ। মিথ্যা ঘোষণায় নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করায় কাস্টমস আইন ২০২৩ অনুসারে চালানটি আটক করা হয়েছে।
কাস্টমস জানায়, ঘোষিত পণ্যের মূল্য ছিল ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় পাওয়া পণ্যের বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।


