চট্টগ্রাম নগরে মো. হাসিবুল ইসলাম (২৬) নিহতের ঘটনায় মূল হোতা মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলামকে (৩১) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ২টা ২০ মিনিটে চান্দগাঁও থানাধীন মৌলভীপুকুর পাড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাহেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নালা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরা ও ভিকটিমের পায়ের এক জোড়া সেন্ডেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন হামজারবাগ আমিন জুট মিলস এলাকার -মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. ইমরান বিন ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার রাতে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, নিহত মো. হাসিবুল ইসলাম নগরের ২নং গেইট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে চাকুরি করতো। গত ৪-৫ মাস আগে খায়রুন নাহার তানহা (২৪) নামে এক নারীর সাথে হাসিবুল ইসলামের ফেইসবুকে পরিচয় হয়। উক্ত পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে উক্ত প্রেমের সম্পকের বিষয়টি খায়রুন নাহার তানহা’র স্বামী মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম জানতে পারে। বিষয়টি নিয়ে সে হাসিবুল ইসলামের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে কল করে হুমকি ধমকি দিতে থাকে।’
ওসি আরও বলেন, গত সোমবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে জাহেদুল ভিকটিম হাসিবুলকে চা খাওয়ার কথা বলে কৌশলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আসে। পরে জাহেদ পূর্বপরিকল্পিতভাবে সোমবার দুপুর ১টা ২০ থেকে দুপুর ২টার মধ্যে সঙ্গীত আবাসিক এলাকায় নিয়ে যায়। এতে প্রেমের সম্পকের বিষয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জাহেদ কোমর থেকে ধারালো ছোরা বের করে হাসিবুলের বুকে ও পিটে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। একপর্যায়ে হাসিবুলের মৃত্যু নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ছোরা দিয়ে গলা কেটে দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন হাসিবুলকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষনা করেন।


