চট্টগ্রামের সাগরিকা স্টেডিয়াম এলাকায় ক্রিকেটারদের স্ট্যাচু ভাঙচুর হয়েছে—এমন খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কয়েকটি ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ভাঙা স্ট্যাচু বাঁশ দিয়ে জোড়া দেওয়ার চেষ্টা করছেন কয়েকজন যুবক। তবে পুলিশ বলছে, সেখানে ভাঙচুরের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক খণ্ডিত একটি স্ট্যাচুর পায়ে বাঁশ ঢুকিয়ে সেটি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দু’জন যুবক ভাঙা অংশ জোড়া দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেননি। এতে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়।
নগরের কদমতলী এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিক আল ইমাম নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, “চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের পাশে সাগরিকা মোড়ে ক্রিকেটারদের স্ট্যাচু ভাঙচুর। সাকিব, তামিমসহ কয়েকজন খেলোয়াড়ের স্ট্যাচুর কিছু অংশ ভেঙে গেছে। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভক্তদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। তবে এভাবে স্ট্যাচু ভাঙচুর ঠিক হয়নি।”
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনও ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন, “দল খারাপ খেলছে দুবাইতে, আর স্ট্যাচু পড়ছে চট্টগ্রামে। এইগুলো কি দোষ করেছে?”
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, ঘটনাটি ভাঙচুর নয়। পাহাড়তলী থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, “স্টেডিয়াম এলাকায় স্ট্যাচু ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভিডিওগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।”
একই থানার এএসআই মো. ইকবাল বলেন, “আমি সরেজমিনে গিয়েছি। কোনো স্ট্যাচু ভাঙা পাইনি। একটি স্ট্যাচুতে সামান্য ক্ষত আছে মনে হয়েছে। আমাদের কাছে ভাঙচুরের ঘটনা বলে মনে হয়নি।”
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে সাগরিকা স্টেডিয়াম এলাকায় জাতীয় দলের ১১ জন ক্রিকেটারের স্ট্যাচু স্থাপন করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে এসব স্ট্যাচু স্থানীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে।