মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
Single Top Banner

১১ বিজিবির অভিযানে ১৫ বার্মিজ গরু জব্দ

আনোয়ার হোছাইন, (নাইক্ষ্যংছড়ি) প্রতিনিধি : 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ঘেঁষা রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝিরকাটা নামক এলাকায় পাচারের সময় ১৫টি বার্মিজ গরু জব্দ করেছে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) সদস্যরা।

শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) নিয়মিত টহলদল অধিনায়কের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গরুগুলো মিয়ানমার থেকে সীমান্তের ৪৮ নম্বর পিলার হয়ে তুলাতলী-কচ্ছপিয়া হয়ে ঈদগাঁওয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১১ বিজিবির একটি টহল দল দায়িত্বপূর্ণ মাঝিরকাটা নামক এলাকায় নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন ১১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস এর দিকনির্দেশনায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই বার্মিজ গরুগুলো জব্দ করে। তবে জব্দকৃত গরুর মালিক বা চালক কেউই ঘটনাস্থলে ধরা পড়েনি। জব্দকৃত প্রতিটি গরুর আনুমানিক বাজারমূল্য ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা করে প্রায় ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।

জানা যায়, গরুগুলোর মালিক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন মৌলভী ছালামত উল্লাহ। তিনি রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হাইস্কুল পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত এবং দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে সীমান্ত চোরাচালান ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় তথ্য সূত্রে আরও জানা যায়, সীমান্ত ঘেঁষা এলাকা থেকে তিনি নিয়মিত গরু পাচার করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা এ প্রতিবেদককে বলেন, ছালামতুল্লাহ আগে খুব সাধারণ মানুষ ছিলেন, কিন্তু গত কয়েক বছরে তিনি হঠাৎ কোটিপতি বনে গেছেন। সীমান্তে তার বেশ কয়েকজন দালালও রয়েছে।

তবে, গরুগুলো কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হাইস্কুল পাড়ার মৌলভী ছালামত উল্লাহর বলে দাবি করা হলেও বিজিবি এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস এ প্রতিবেদককে বলেন, অভিযান টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যাওয়ায় কোন ব্যক্তিকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সীমান্ত পথে গরু চোরাচালান রোধে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কঠোর নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যেকোন মূল্যে সীমান্তে মাদক ও গরু চোরাচালান প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছি। ভবিষ্যতেও আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনে বিজিবি কঠোর অবস্থানে থাকবে।

অন্যদিকে বিজিবি সূত্রে জানা যায়, জব্দকৃত গরুগুলোর সিজার ফরম তৈরি করা হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী কাস্টমসের মাধ্যমে দ্রুত নিলামে তোলা হবে।

Single Sidebar Banner
  • সর্বশেষ
  • পঠিত