বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের হৃদযন্ত্রে পাঁচ থেকে ছয়টি ব্লক ধরা পড়েছে। এর মধ্যে তিনটি আর্টারির প্রায় ৮৫ শতাংশ বন্ধ রয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে তার ওপেন হার্ট সার্জারি অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মতিউর রহমান আকন্দ, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন এবং দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।
গোলাম পরওয়ার জানান, গত ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াত আমির। বক্তব্য চলাকালীন তিনি পড়ে যান এবং বসে থেকেই বক্তব্য শেষ করেন। এরপর তাকে তাৎক্ষণিকভাবে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে তিনি পানিস্বল্পতায় (ডিহাইড্রেশন) ভুগছিলেন।
পরে গত বুধবার ইউনাইটেড হাসপাতালে তার এনজিওগ্রাম করা হয়। এতে তার হৃদযন্ত্রে একাধিক ব্লক ধরা পড়ে। প্রাথমিকভাবে রিং পরানোর চিন্তা থাকলেও পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে ওপেন হার্ট সার্জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলের পক্ষ থেকে এবং ডা. শফিকুর রহমানের পরিবারের সম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, অনেকেই তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর আস্থা রেখে এখানেই চিকিৎসা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।
বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে একটি অভিজ্ঞ চিকিৎসক দলের মাধ্যমে শনিবার সকাল ৭টায় সার্জারি শুরু হবে। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, সেনাপ্রধানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তার চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, সুচিকিৎসার স্বার্থে কোনো সাক্ষাৎ বা মোবাইলে কথা বলা যেন সীমিত রাখা হয়। দলের নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিষয়টি এখন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।