সংবাদ প্রকাশের জেরে অবশেষে টনক নড়েছে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ভূমি অফিসের। তবে বেদখলের অভিযোগ উঠা জায়গাটির পরিমাপ নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে জায়গাটি চিহ্নিত করতে পরিমাপ শুরু হয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বারের নেতৃত্বে ।
সরেজমিনে জানা যায়, উক্ত জায়গায় সনাতনী পদ্ধতিতে পরিমাপ শুরু করে ভূমি অফিসের লোকজন। একেক সময় একেক জনের দেখিয়ে দেওয়া স্থান থেকে পরিমাপ শুরু করে। যেনতেন ভাবে করা এ পরিমাপে ইতিপূর্বে ভূমি অফিসের দাবি করা উক্ত তিনশতক খাস জায়গার দাবি সম্পূর্ণ উল্টে যায়। অভিযোগ উঠা উক্ত জায়গা কিভাবে পাশের ভিন্ন স্থানের বহু পুরাতন দোকান স্থাপনায় চিহ্নিত হল তা নিয়ে প্রশ্নের অন্ত নেই।পরিমাপ পরবর্তী ইউনিয়ন ভূমি অফিস উক্ত স্থানে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিলে জনমনে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ব্যবসায়ীদের ধারণা,তবে কি ভূমি অফিসের পূর্বের দাবি ও পরিমাপ অদৃশ্য কোন শক্তির ইশারায় মূহূর্তেই ৩৬০ ডিগ্রি উল্টে গেল?
গণমাধ্যম কর্মীদের ধারণা তাদের অব্যাহত লেখনিতে চাপে পড়া উভয় পক্ষ যেনতেনভাবে একটি পরিমাপ দেখিয়ে সাংবাদিকদের লেখনি বন্ধের অপকৌশলও হতে পারে এটি।
উক্ত জায়গা উদ্ধারের নামে আইওয়াশ করে ভিন্ন স্থানে তিন শতক জায়গা বেদখল দেখিয়ে উক্ত নির্মাণ কোম্পানি যাতে নিরাপদে কাজ চালিয়ে যেতে পারে পেছনের দরজায় তার বন্দোবস্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখা জরুরি।
এ বিষয়ে পরিমাপে নেতৃত্ব দেয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল জাব্বারের সাথে কথা হলে জানান,তিনি অভিযোগ উঠা জায়গাটি এনালগ পদ্ধতিতে পরিমাপ করেছেন।এ জায়গার আশপাশে স্থাপনা ও রাস্তাঘাট পরিবর্তন হওয়ায় জায়গাটি সন্দেহাতীতভাবে ভাবে চিহ্নিত করতে পারছেন না। সেহেতু তিনি উপজেলা ভূমি অফিসে তড়িৎ রিপোর্ট পাঠিয়ে সরকারী সার্ভেয়ারের মাধ্যমে পুনঃ পরিমাপের ব্যবস্থা নেবেন।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলার প্রধান কেন্দ্রস্থল ঈদগাঁও বাজার কবিরাজ সিটি সেন্টারের পশ্চিমে বাশু দে’র স্বত্তীয় জায়গায় চুক্তি ভিত্তিক জিনিয়াস এফজি নামের এক ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান বহূতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ শুরু করে। অভিযোগ উঠে ওই জায়গার দক্ষিণে থাকা তিন শতক খাস জায়গার উপর দীর্ঘ সময় ধরে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের সংবাদ পেয়ে ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার তাতে সাইনবোর্ড টাঙ্গাতে গেলে তাতে বাঁধা দেয়। পরে তিনি তাদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করলে তা সামাল দিতে দৌড় ঝাঁপ শুরু করে জড়িতরা। কোটি টাকা মূল্যের এ খাস জায়গাটি উদ্ধারে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে ।


