নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিয়েতে স্থানীয় হুজুরকে দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের লামছড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকা দুজনকে উদ্ধার করে।
আহতরা হলেন—হেলাল উদ্দিন, ইমতিয়াজ, ফরিদ উদ্দিন, ওমর ফারুক, কোহিনুর বেগম, উম্মে কুলসুম, নাজিম উদ্দিন, মারজান উদ্দিন, সাইফুজ্জামান, শাহাবউদ্দিন ও মহিমা বেগম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়েতে গ্রামের পাশের হুজুরকে দাওয়াত না দেওয়ায় হেলাল মাঝি ও কামাল পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে আজ বিকেলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য গ্রামবাসীর উদ্যোগে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকের একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে নারীসহ ১১ জন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত কোহিনুর বেগম ও ফরিদ উদ্দিনকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ হেফাজতে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহাবউদ্দিন বলেন, “বিয়ের দিন আমরা বাড়ির পাশের হুজুরকে না ডেকে আমাদের পারিবারিক শিক্ষক অন্য এলাকার এক হুজুরকে দাওয়াত দিই। এতে হেলাল মাঝিসহ কয়েকজন এসে বাধা দেয়। পরে সবাইকে শান্ত করে বিয়ে সম্পন্ন করি। আজ পূর্বের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হেলাল মাঝির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে।”
অন্যদিকে আহত হেলাল উদ্দিন বলেন, “বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) শাহাবউদ্দিনের ভাইয়ের মেয়ের বিয়েতে আমাদের মসজিদের হুজুরকে বাদ দিয়ে বাইরের হুজুরকে দাওয়াত দেওয়া হয়। আমি মসজিদের ক্যাশিয়ার হিসেবে বিষয়টি জানতে চাইলে শাহাবউদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আজ বৈঠকে বসলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।”
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিনহাজুল আবেদীন বলেন, “শাহাবউদ্দিন ও মারজান নামের দুই ব্যক্তিকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। মুমূর্ষু দুইজনকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


