চসিক মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী প্রখ্যাত আলেম হওয়া সত্ত্বেও ধর্মান্ধ ছিলেন না বরং যুক্তিবাদী, বিজ্ঞান মনস্ক ও জনসেবক ছিলেন। উপমহাদেশে জনদরদী একজন দেশপ্রেমিক, উদার মানবতাবাদী, সাংবাদিকতা জগতের পথিকৃৎ, ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর রাজনীতিবিদ, শিক্ষক এবং বহুদর্শী বিচক্ষণ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর কর্ম ও ধ্যান ছিল সাধারণ মানুষের সুশিক্ষা, নৈতিক মূল্যবোধ, আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে জ্ঞান দান, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদান। চলমান অসংযত ধর্মীয় নগ্নতান্ডব প্রতিহত করতে নতুন প্রজন্ম ইসলামাবাদীর জীবন ও আর্দশ অনুসরণ অপরিহার্য। বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন রোধ, সমাজের কুসংস্কার, দুর্নীতি প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধ করেন। শিক্ষার্থীদের বিশেষত মাদ্রাসা ছাত্রদের রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, ভূগোল, ইতিহাস, আধুনিক দর্শন ও বিজ্ঞান সম্পর্কে অর্থকরী বিদ্যা শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ভূগোল শাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন। নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞান, ইংরেজি ও কারিগরি শিক্ষার প্রতি অগ্রগামী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রচারণা চালান।
তিনি মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর ৭৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
লায়ন এস এম মোর্শোদ হোসেনের সভাপতিত্বে আজ ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকালে কদম মোবারক মুসলিম এতিমখানা প্রাঙ্গণে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষক ড. শামসুদ্দীন শিশির, তিনি বলেন, মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী ছিলেন শিক্ষা, মানবতা ও ন্যায়বিচারের প্রতীক। তিনি নারী শিক্ষা, ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর জীবন ও আদর্শ আজও আমাদের জন্য প্রেরণার উৎস। জাতীয় আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং কদম মোবারক মুসলিম এতিমখানা ও স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর অবদান ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী-পরিচালক মো: জসিম উদ্দিন, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা বদিউল আলম রিজভী।
সোহেল মো: ফখরুদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আজাদ খান, সৈয়দ আলা উদ্দিন, হারুন জামান, জাকের হোসেন, গাজী ইসলামাবাদী, মোহাস্মদ হাবিব উল্লাহ, ইমরান হোসেন জুয়েল, মুজিবুল হক সিদ্দীকী, হাফেজ মো: আমান উল্লাহ, অধ্যক্ষ ড: সানা উল্লাহ, আলা উদ্দীন।


